ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হলেন ভগবানের অবতার, যিনি প্রেম, শান্তি ও ধর্মের প্রতীক। তাঁর জীবনের গল্প আমাদের জীবনকে উজ্জ্বল করে তোলে। তিনি মহাভারতের প্রধান চরিত্র এবং গীতার উপদেশের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জ্ঞান ছড়িয়েছেন।
এই মন্ত্রটি হল হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র। এটি ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতার প্রতীক এবং শ্রীকৃষ্ণের নামে জপ করা হয়।
এই মন্ত্রটি শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশে জপ করা হয়। এটি ভগবানের শক্তি ও করুণার প্রতীক।
এই মন্ত্রটি শ্রীকৃষ্ণকে জগতের গুরু হিসেবে স্মরণ করে। এটি জ্ঞান ও ধর্মের প্রতীক।
শ্রীকৃষ্ণ মথুরায় গিয়ে কংসের অত্যাচার থেকে মানুষকে উদ্ধার করেন। তিনি কংসকে পরাজিত করে ধর্ম ও শান্তি ফিরিয়ে আনেন।
বালক শ্রীকৃষ্ণ কালিয়া নাগের বিষাক্ত জল থেকে গোপ-বালকদের বাঁচানোর জন্য তার মুখে ডাক দিয়ে তাকে পরাস্ত করেন।
শ্রীকৃষ্ণ গোপীদের সঙ্গে রাত্রিবেলায় রাসলীলা করেন, যা ভক্তি ও প্রেমের প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
মহাভারতের কুরুক্ষেত্রে শ্রৃকৃষ্ণ অর্জুনকে গীতার উপদেশ দেন এবং ধর্মযুদ্ধের পথ দেখান।
শৈশবে শ্রীকৃষ্ণ গোকুলে মাখন চুরি করতেন এবং গোপীদের ঘর থেকে মাখন খেতেন। এই লীলা তাঁর সহজ ও মানবিক স্বভাবের প্রতীক।
শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে গোপাল হিসেবে বড় হন এবং গোপ-গোপীদের সঙ্গে সুখের জীবন কাটান। তিনি গোপ-বালকদের সঙ্গে খেলা করতেন এবং গোপীদের সঙ্গে গান গাইতেন।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মের পর তাঁকে নন্দ মহারাজ ও যশোদা গোকুলে নিয়ে যান এবং তাঁকে তাঁদের পুত্র হিসেবে লালন-পালন করেন।
বকাসুর নামে এক দৈত্য গোপ-বালকদের ধ্বংস করার জন্য আসে। শ্রীকৃষ্ণ তাকে পরাজিত করেন এবং গোপ-বালকদের বাঁচান।
পুতনা নামে এক দৈত্য বালক শ্রীকৃষ্ণকে মারতে আসে। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ তার বিষাক্ত স্তন্যপান করে তাকে পরাজিত করেন।
জন্মাষ্টমী হল শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। এই দিনে মন্দিরে ভোগ উৎসব ও রাত্রিবেলায় কীর্তন চলে। গোকুল ও মথুরা এই উৎসবটি বিশেষভাবে পালন করে।
তারিখ: আগস্ট/সেপ্টেম্বর (হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী)
শ্রীকৃষ্ণ গোবর্ধন পাহাড় তুলে ধরেছিলেন বলে এই দিনটি পালন করা হয়। এই দিনে গোবর্ধন পাহাড়ের পূজা এবং অন্নকূট ভোজ আয়োজন করা হয়।
তারিখ: অক্টোবর/নভেম্বর (হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী)
রাস লীলা হল শ্রীকৃষ্ণ ও গোপীদের মধ্যে প্রেম ও ভক্তির প্রতীক। এই দিনে বৃন্দাবনে রাসলীলা নাটক ও উৎসব চলে।
তারিখ: কার্তিক মাস (হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী)
হোলি হল রঙের উৎসব এবং শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার প্রেমের প্রতীক। বৃন্দাবনে এই দিনে বিশেষভাবে রাসলীলা ও হোলি খেলা চলে।
তারিখ: ফেব্রুয়ারি/মার্চ (হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী)
এই দিনটি নন্দ মহারাজ ও যশোদার ঘরে শ্রীকৃষ্ণের আগমন উদযাপন করা হয়। গোকুলে এই উৎসবটি বিশেষভাবে পালন করা হয়।
তারিখ: আগস্ট/সেপ্টেম্বর (হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী)
এই দিনটি শ্রীকৃষ্ণ ও বিষ্ণুর উদ্দেশে পালন করা হয়। এই দিনে ভক্তরা বৈকুণ্ঠ দ্বার খোলার আশা করে পূজা করেন।
তারিখ: ডিসেম্বর/জানুয়ারি (হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী)
গোকুল আষ্টমী হল শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনের আগের দিন। এই দিনে গোকুলে বিশেষভাবে উৎসব চলে এবং শিশু শ্রীকৃষ্ণের পূজা করা হয়।
তারিখ: আগস্ট/সেপ্টেম্বর (হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী)
এই উৎসবটি শিশু শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি ও প্রেমের প্রতীক। এই দিনে শিশু শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি সাজানো হয় এবং ভক্তরা তাঁকে মাখন, দুধ ও ফল দিয়ে পূজা করেন।
তারিখ: আগস্ট/সেপ্টেম্বর (হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী)
এই উৎসবটি শ্রীকৃষ্ণের কালিয়া দমন লীলার স্মরণে পালন করা হয়। এই দিনে শ্রীকৃষ্ণের কালিয়া নাগকে পরাজিত করার গল্প বলা হয় এবং তাঁর জয় উদযাপন করা হয়।
তারিখ: আগস্ট/সেপ্টেম্বর (হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী)